মোকাররম হোসাইন : ন্যায়বিচার ধারণার সঙ্গে অর্থনীতির সম্পর্ক ‘গাছের সঙ্গে শিকড়ের’ সম্পর্কের মতো। অর্থের শিকড় ছাড়া ন্যায়বিচার বৃক্ষ প্রাণহীন কাঠামো মাত্র। অর্থনৈতিক বৈষম্য প্রায় সব অবিচারের উৎস। অর্থনৈতিক বৈষম্যের মূলোৎপাটন ছাড়া ন্যায়বিচার কখনো কায়েম হবে না। ইসলাম যে ন্যায়বিচারের ধারণা হাজির করে তা কায়েমের প্রথম পদক্ষেপ অর্থনৈতিক বৈষম্যের মূলোৎপাটন। সেই পদক্ষেপ হিসেবে ইসলাম সাদাকাতুস যাকাত কর্মসূচি প্রস্তাব করে, যাকে ‘দারিদ্র বিমোচন কর’ বলে অর্থনীতির একটা ভাষা দেয়া যেতে পারে। রাষ্ট্র চাইলে দারিদ্র মুক্তির আরও কর্মসূচিও গ্রহণ করতে পারে। ইসলাম স্রেফ পরকালমুখী দোয়া ইন্ডাস্ট্রি নয়। পৌত্তলিক ধর্মাচারের মতো অতিপ্রাকৃতিক শক্তির উদ্দেশ্যে কাঠামোবদ্ধ রিচুয়ালের সমষ্ঠি নয়। ইসলামের সমস্ত এবাদতের আছে ইহজাগতিক ব্যাপ্তি। ‘আকিমাতুস সালাত ওয়াতুয যাকাত’ এই অভিব্যক্তিতে সালাত খোদার সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক এবং যাকাত মানুষের সঙ্গে দুনিয়ার সম্পর্ক নির্দেশ করে। একটা ছাড়া আরেকটা অর্থহীন।

ইসলামের ব্যক্তিগত ও সামষ্ঠিক প্রতিটি এবাদতের সঙ্গে ন্যায়বিচার কায়েমের সম্পর্ক আছে। ব্যক্তিগত এবাদত খোদার স্মরণ হৃদয়ে জারি রেখে মানুষের আত্মশুদ্ধি ঘটায়। ফলত, মানুষের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক ও লেনদেন হবে স্বচ্ছ ও নৈতিক। অন্যদিকে সামষ্ঠিক এবাদতের ভেদাভেদহীন জমায়েতের উদ্দেশ্য হলো বৈষম্যহীন সমাজ নির্মাণে যৌথ রাজনৈতিক তৎপড়তার প্রেরণা যোগানো। ফেসবুক থেকে